শীতের আমেজে কাপ্তাইয়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগের এখনই সময়।
মুলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক দিয়ে রাঙামাটির ছেয়ে অনেক এগিয়ে কাপ্তাই। ২ পাশে সারি সারি পাহাড়ের মাঝখানে বয়ে চলা সাপের মত আকাবাকা কর্ণফুলী নদীর পাড় ঘেঁষে চলে গেছে চট্রগ্রাম – কাপ্তাইয়ের মুল সড়ক। কাপ্তাই পর্যটন স্পট হিসেবে তেমন জনপ্রিয় না হওয়ার মুল কারণ হচ্ছে কাপ্তাইয়ে মানুষ ট্যুরিস্টবান্ধব না, কাপ্তাইয়ে থাকার জায়গার বড়ই অভাব। সাধারণ পর্যটকদের জন্য থাকার জায়গা নাই বললে চলে।
-চাইলে কায়াকিং বা বোট দিয়ে ঘুরতে পারেন।
আমারা ছিলাম সেনাবাহিনী পরিচালিত লেকশোর সেনা রিসোর্ট এ।
রাতে ছিল রক্তবর্ণ চাঁদের পূর্ণিমা। আমরা কাছের টিলার চূড়োতে থাকা হেলিপ্যাডে বসলাম। কয়েকজন অফিসার নিষেধ করলেন। কারণ রাতে ওখানেও হাতিসহ বন্য প্রাণী আসতে পারে। অদ্ভুত এক মায়াবী সন্ধ্যা দেখলাম সেখানে বসে। কীভাবে অন্ধকার গ্রাস করে চারদিক। শহরের মতো নয়। একদম অন্য রকম। একটু পরেই লেকের পানিতে ছায়া ফেলে উঠল রক্তিম চাদ। পূর্ণিমার আলো আর শ্রাবণ মেঘের রহস্যময় লুকোচুরি দেখতে দেখতে চারদিকে ভেসে এল নির্জনতার শব্দ। সঙ্গে শিয়ালসহ আর কিছু নাম না জানা প্রাণীর ডাক।
-পরিবেশ :-
যেখানেই ঘুরতে যান না কেন, খেয়াল রাখবেন আপনার এবং ভ্রমণসঙ্গীদের দ্বারা পরিবেশের যেন কোন ধরণের ক্ষতি না হয় । স্থানীয়দের সাথে সুন্দর ও মার্জিত আচরণ করবেন ।
যে কোন ধরণের উচ্ছিষ্ট (খালি প্যাকেট বা বোতল বা এই টাইপের সব কিছুই) সাথে করে নিয়ে আসবেন, প্রকৃতির কোলে রেখে আসবেন না ।
-কিভাবে যাবেন :
ঢাকা কল্যাণপুর, ফকিরাপুল, সায়দাবাদ ও উত্তরা আবদুল্লাহপুর থেকে সরাসরি কাপ্তাইয়ের বাস আছে..
লেখাঃ Sayma Naznin Prova
ছবিঃ Sayma Naznin Prova
–
Leave A Comment
You must be logged in to post a comment.