আজ পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি এমন একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রাকৃতিক স্থানের সাথে যেখানে আপনি কিছুটা সময় পাহাড় ও সবুজের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারেন। কক্সবাজারে সবাই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে আসে, এবং সবাই এই সৈকত থেকে আনন্দ- উচ্ছ্বাস নিয়েই ফিরে যায়। অন্যদিকে যদি সৈকতের সাথে সাথে সবুজে মোড়ানো ছোট্ট ছোট্ট পাহাড় উপভোগ করা যায় তাহলে পুরোটাই সোনায়-সোহাগা। পাহাড় প্রেমীদের জন্য এক অনুভূতির জায়গা এই পেঁচারদ্বীপ। মূলত এটি একটি ঢালা অর্থাৎ ছোট্ট কয়েকটি পাহাড় ⛰️ সাথে পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। পাহাড়ের উপর থেকে পশ্চিম আকাশের সূর্যাস্ত বা সমুদ্রের গর্জন বা দক্ষিন – পূর্বে রেজু খালের বয়ে যাওয়া এবং ঐ দূরের বিশাল পাহাড়ের সারি আপনাকে কিছুটা সময় আন্দোলিত করবে। এখানে রয়েছে পিচ ঢালা রাস্তা, যেটা দিয়ে মূলত মরিচ্চা (উখিয়া), লিংক রোড বা রামু যাওয়া যায়। পর্যটকদের জন্য যাত্রী ছাউনি ও রয়েছে একটা। তাই আর দেরি কেন ?‍♂️  হাতে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ভ্রমণ করে আসুন নয়নাভিরাম এই সবুজ পাহাড়। ?এটির আরো কয়েকটি পরিচিত নাম ?‍♂️ গোয়ালিয়ার ঢালা/ গোয়ালিয়া পালং/ রেজুখাল টু মরিচ্ছা রোড। যেভাবে যাবেন ? কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ হয়ে হিমছড়ির পর রেজুখাল ব্রীজ থেকে হাতের বামে (পূর্ব দিকে) ৭ মিনিটের হাটা দূরত্ত্বে অপরূপ এই জায়গাটি। ? একটি অনুরোধঃ যারা যাবেন তাদের গাড়ি রেজু ব্রীজের ওখানে রেখে পায়ে হেঁটে হেঁটে যাবেন। এর ফলে একদিকে যেমন গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটার মজা পাবেন, অন্যদিকে উক্ত রাস্তা ও স্থানে গাড়ির হর্ণ বা জ্যাম থাকবে না। ? এখনো পর্যটকদের তেমন যাওয়া-আসা না থাকায় স্থানটি খুবই পরিষ্কার। তাই আমি আশা করবো ভবিষ্যতে যারা যাবেন দয়া করে কোন রকমের নোংরা বা ময়লা- আবর্জনা ফেলে উক্ত স্থানটিকে দূষিত করবেন না।
collected form (Asif Haider)

—-

—-

—-

—-