মারায়ন তং, আলিকদম, বান্দরবান।। নামটা এখন আর খুব বেশী অপরিচিত নেই। বিশেষ করে আমাদের মত যারা বাজেট ট্যুর করে অভ্যস্ত তাদের কাছে। সাজেকে যাবার সামর্থ্য আগেও ছিলনা আর দিনে দিনে আরও কমে আসতে শুরু করেছে। তাই এই সমস্ত জায়গাই আমাদের ভরসা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গত বছরে কোনো একটা সময় মারায়ন তং এর চূড়ায় ক্যাম্পিং এর ব্যাপারে নিষেধ করে দিয়েছে। হয়তো শীঘ্রই এই পাহাড়ে ট্রেকিং করতে গাইডেরও প্রয়োজন হবে। কিন্ত, কিছু কিছু ট্যুর গ্রুপ বা ব্যক্তিগত লাভের আশায় অথবা একটু বেশীই আনন্দ লাভের আশায় লুকিয়ে ক্যাম্পিং করছে রাতের বেলায়। সেনাবাহিনীর অনুমতি নিতে গেলে অনুমতি দিবেনা, তাই তারা অনুমতি’র ধার ধারতেও রাজি নন। কিন্তু ভাই চোরের দশ দিন আর গৃহেস্তের… জানেন আশা করি। সেই একদিন যেদিন আসবে সেদিন থেকে হয়তো এই আমাদের মত সাজেক গিয়ে তিন রাত তিন কটেজে থাকার মত সামর্থ্যহীন মানুষদের জন্য এই পাহাড়ের চূড়াতে একটু মেঘ দেখতে যাওয়ার সুযোগটাও বন্ধ হবে। যারা ক্যাম্পিং করেন তারা অবশ্যই যথেষ্ট জ্ঞানী এবং সুবিবেচক মানুষ। আশা করি আমার কথাগুলো বলার অর্থটা বুঝতে পারবেন। না বুঝলেও সমস্যা নাই, আমি ইতিমধ্যে দুইবার ঘুরে আসছি আর না গেলেও চলবে। কিন্তু অনেকেই যাওয়ার পরিকল্পনা মাথায় রেখেছেন তাদের যাওয়াটা যেন বন্ধ না হয় আপনাদের এই লুকিয়ে লুকিয়ে ক্যাম্পিং করে আসার জন্য। যাতায়াত এর বিস্তারিত তথ্যঃ ঢাকা থেকে আলিকদমগামী শ্যামলী এন.আর কিংবা হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর বাসে চেপে আবাসিক নামতে পারেন৷ নাস্তা সেরে অটো নিয়ে পাহাড়ের রাস্তায় শুরু অবদি নিয়ে যাবে। এছাড়াও কক্সবাজারগামী যেকোনো বাসে চকরিয়া নেমে চান্দেরগাড়ি কিংবা বাসে করেও যেতে পারেন। অবশ্যই ক্যাম্পিং না করে দিনে গিয়ে দিনেই নেমে আসার পরিকল্পনা করবেন। লুকিয়ে ক্যাম্পিং করছে অনেকে এইটা সেনাবাহিনী’র নজরে এসেছে ইতিমধ্যেই৷ কবে ক্যামনে আবার সন্ধ্যার পরে তারাও একটু ট্রেকিং করতে বের হবে আর তাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার জন্য কিঞ্চিৎ আতিথিয়েতা করবে কে জানে। প্রতিটা পাহাড়েই বিরিয়ানি, চিপস আর নতুন করে বাটারবনের প্যাকেটের (টিভি এডের পর থেকে সম্ভাবত) আধিক্য দিনে দিনে বাড়ছে। নিজে সচেতন হোন, জানি খুব বেশী ব্যবস্থা নেই ময়লা ফেলার জন্য। তাই ময়লা আবর্জনা যেন তৈরীই না হয় তেমন ভাবে ঘুরতে বের হবার চেষ্টা করুন। পরিবেশের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকুন।
Collected form (Prince Kumar Biswas)