ঢাকার আশেপাশে যাঁরা ডে ট্যুর এর জন্য জায়গা খুঁজে বেড়ান তাঁদের জন্য আদর্শ জায়গা নারায়ণগঞ্জ শহর।দিনে এসে দিনে ঘুরে দিনেই চলে যাওয়া যায়! ✌ 😎
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রেমীদের জন্য রয়েছে হাজীগঞ্জ দুর্গ।হাজীগঞ্জ দুর্গ মুঘল আমলে নির্মিত একটি জল দুর্গ।এটি খিজিরপুর দুর্গ নামেও পরিচিত।ঢাকা শহর কে রক্ষা করতে সপ্তদশ শতকের আগে পরে যে তিনটি জল দুর্গকে নিয়ে ত্রিভূজ জল দুর্গ বা ট্রায়াঙ্গল অব ওয়াটার ফোর্ট গড়ে তোলা হয়েছিল তারই একটি হলো এই হাজীগঞ্জ দুর্গ।সম্ভবত মুঘল সুবাদার ইসলাম খান কর্তৃক ঢাকায় মুঘল রাজধানী স্থাপনের অব্যবহিত পরে নদীপথে মগ ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে দুর্গটির নির্মাণ করা হয়।
হাজীগঞ্জ দুর্গ থেকে দু মিনিটের দুরুত্বে ই রয়েছে শীতলক্ষ্যা নদী।দুর্গ ঘোরার পাশাপাশি শুধু নৌ ভ্রমণ করতে চাইলে নবীগঞ্জ ঘাট এ চলে যেতে পারেন।এছাড়াও আরো কিছু জায়গা একদিনে ঘুরে দেখতে পারবেন।
১.সোনাকান্দা দুর্গ : ত্রিভুজ জল দুর্গের আরেকটি দুর্গ হচ্ছে এটি।
২.সাবদি , প্রাকৃতিক গ্রাম্য মনোরম পরিবেশ যাঁরা পছন্দ করেন তাদের জন্য একটি সুন্দর জায়গার নাম হচ্ছে সাবদি।এখানে একটি প্রাচীন কালী মন্দির রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত সাবদি।দিনভর ঘোরা শেষে ব্রহ্মনপুত্র নদে পড়ন্ত বিকেলে নৌ-ভ্রমণ দিবে মনে প্রশান্তি। 😊
৩. চৌরঙ্গী পার্ক , প্রবেশ টিকেট মূল্য ৫০ টাকা। নদীর পাড়ে অবস্থিত একটি পার্ক।এই পার্কে শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি ভাসমান রেস্তোরাঁ রয়েছে।হাজীগঞ্জ দুর্গ যাওয়ার পথে পড়বে এই পার্কটি।
যাতায়াত ব্যবস্থা : গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জগামী উৎসব/বন্ধন/হিমাচল/শীতল বাস রয়েছে। ভাড়া 36 টাকা।শীতল এসি বাস ভাড়া ৫৫ টাকা।কেউ ট্রেনে আসতে চাইলে কমলাপুর নারায়ণগঞ্জ শহরতলী প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনে করে চাষাড়া স্টেশন আস্তে পারেন।ভাড়া ১৫ টাকা। চাষাড়া থেকে রিকশা হাজীগঞ্জ ফায়ার স্টেশন/নবীগঞ্জ ঘাট এ নামতে হবে। ফায়ার স্টেশন এর পাশের গলিতে দুর্গ অবস্থিত।
সাবদি এবং সোনাকান্দা দুর্গ চাষাড়া থেকে বন্দর ঘাট পাঁড় হয়ে যেতে হবে।সবগুলো জায়গা ঘুরতে খরচ ৩০০-৪০০ এর মধ্যে হয়ে যাবে।
( হাজীগঞ্জ দুর্গ আমাদের দেশের সম্পদ।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এটি সংরক্ষণ এর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে দুর্গটি।মাদকাসক্ত দের আড্ডাখানায় পরিণত হচ্ছে।স্থানীয় লোকজন এ ব্যপারে বড্ড উদাসীন।
তাই গ্রূপ করে যাবেন। দিনের বেলা গ্রূপ করে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না।যদিও আমি প্রতিবার 2জন/৩জন গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হই নি।তবুও এই জায়গার নিরাপত্তা কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ রয়েই যায়।
দয়া করে কেউ দুর্গের দেয়ালে দুটি নামের আদ্যক্ষর এর মাঝে প্লাস চিহ্ন দিয়ে নকশা করবেন না।আমাদের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের নিজেদের-ই।ভ্রমণের সময় পরিবেশ দূষণ রক্ষায় সচেষ্ট হন।)
.
collected form (Foujeya Yeasmin)
সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।