আজ পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি এমন একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রাকৃতিক স্থানের সাথে যেখানে আপনি কিছুটা সময় পাহাড় ও সবুজের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারেন। কক্সবাজারে সবাই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে আসে, এবং সবাই এই সৈকত থেকে আনন্দ- উচ্ছ্বাস নিয়েই ফিরে যায়। অন্যদিকে যদি সৈকতের সাথে সাথে সবুজে মোড়ানো ছোট্ট ছোট্ট পাহাড় উপভোগ করা যায় তাহলে পুরোটাই সোনায়-সোহাগা। পাহাড় প্রেমীদের জন্য এক অনুভূতির জায়গা এই পেঁচারদ্বীপ। মূলত এটি একটি ঢালা অর্থাৎ ছোট্ট কয়েকটি পাহাড় সাথে পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। পাহাড়ের উপর থেকে পশ্চিম আকাশের সূর্যাস্ত বা সমুদ্রের গর্জন বা দক্ষিন – পূর্বে রেজু খালের বয়ে যাওয়া এবং ঐ দূরের বিশাল পাহাড়ের সারি আপনাকে কিছুটা সময় আন্দোলিত করবে। এখানে রয়েছে পিচ ঢালা রাস্তা, যেটা দিয়ে মূলত মরিচ্চা (উখিয়া), লিংক রোড বা রামু যাওয়া যায়। পর্যটকদের জন্য যাত্রী ছাউনি ও রয়েছে একটা। তাই আর দেরি কেন হাতে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ভ্রমণ করে আসুন নয়নাভিরাম এই সবুজ পাহাড়। এটির আরো কয়েকটি পরিচিত নাম গোয়ালিয়ার ঢালা/ গোয়ালিয়া পালং/ রেজুখাল টু মরিচ্ছা রোড। যেভাবে যাবেন কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ হয়ে হিমছড়ির পর রেজুখাল ব্রীজ থেকে হাতের বামে (পূর্ব দিকে) ৭ মিনিটের হাটা দূরত্ত্বে অপরূপ এই জায়গাটি। একটি অনুরোধঃ যারা যাবেন তাদের গাড়ি রেজু ব্রীজের ওখানে রেখে পায়ে হেঁটে হেঁটে যাবেন। এর ফলে একদিকে যেমন গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটার মজা পাবেন, অন্যদিকে উক্ত রাস্তা ও স্থানে গাড়ির হর্ণ বা জ্যাম থাকবে না। এখনো পর্যটকদের তেমন যাওয়া-আসা না থাকায় স্থানটি খুবই পরিষ্কার। তাই আমি আশা করবো ভবিষ্যতে যারা যাবেন দয়া করে কোন রকমের নোংরা বা ময়লা- আবর্জনা ফেলে উক্ত স্থানটিকে দূষিত করবেন না।
collected form (Asif Haider)
—-
—-
—-
—-
Leave A Comment
You must be logged in to post a comment.